
মো: আব্দুস ছলিম, বাজিতপুর (কিশোরগঞ্জ): বাজিতপুরকে জেলা করার দাবিতে আজ রবিবার বিকাল ২টা ৩০ মিনিটে বাজিতপুর উপজেলার ওসমানপুরস্থ ড. ঘোষ সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি প্রাঙ্গণে এক প্রেস কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়।
বরিবার (২৭ জুলাই) বাজিতপুর জেলা বাস্তবায়ন কমিটি এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা আই.আই.বি.এইচ.বি (ক্যালিফোর্নিয়া, ইউএসএ)'র যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববরেণ্য বিজ্ঞানী এবং হাইড্রোগ্রামীন প্রকল্পের প্রবর্তক ড. রাস বিহারী ঘোষ।
প্রেস কনফারেন্সে বক্তারা বাজিতপুরকে জেলা হিসেবে ঘোষণা করার যৌক্তিকতা তুলে ধরেন। তারা বলেন, কিশোরগঞ্জ জেলার অন্যতম জনবহুল ও ঐতিহ্যবাহী উপজেলা বাজিতপুর, যেটি ইতোমধ্যে অবকাঠামোগতভাবে অনেকটা জেলা সদরের রূপ ধারণ করেছে। এখানে রয়েছে পৌরসভা, সরকারি কলেজ, হাসপাতাল, রেলস্টেশন, থানাসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক ও সেবা প্রতিষ্ঠান। জেলার সুবিধা থেকে বঞ্চিত এই অঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে বাজিতপুরকে জেলা করা সময়োপযোগী পদক্ষেপ।
এ সময় সভার সভাপতি ড. রাস বিহারী ঘোষ বলেন, “বাজিতপুরকে জেলা করা আমার স্বপ্ন নয়, এটি আমার শপথ। প্রয়োজনে শরীরের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও আমি এর বাস্তবায়ন করবো। এটা কেবল একটি প্রশাসনিক ঘোষণা নয়—এটা এই অঞ্চলের মানুষের আত্মমর্যাদার প্রশ্ন, প্রজন্মের ভবিষ্যতের প্রশ্ন। বাজিতপুর জেলা হবেই।”
এসময় বক্তারা নদ-নদীর দূষণ, ভূগর্ভস্থ পানির স্তর হ্রাস এবং ভূমি অবনমন (ল্যান্ড সাবসাইডেন্স) সম্পর্কেও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, বুড়িগঙ্গাসহ দেশের প্রায় সব নদীর পানি আজ মারাত্মকভাবে দূষিত। পানির স্তর আশঙ্কাজনকভাবে নিচে নেমে যাওয়ায় ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বিশুদ্ধ পানি সংকট তৈরি হচ্ছে। এ সংকট মোকাবিলায় ‘হাইড্রোগ্রামীন প্রকল্প’ বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
প্রেস কনফারেন্সে বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট শৈলেশ্বর চন্দ্র দাস, অধ্যাপক ওয়াহেদুজ্জামান, বাজিতপুর কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তোফাজ্জল হোসেন বাদল, নাসিমা আক্তার, সাংবাদিক হোসেন মাহবুব কামাল, সাংবাদিক শেখ জসিম, সাংবাদিক সাব্বির আহমেদ মানিক ও সাংবাদিক আশরাফ।
অনুষ্ঠানে শিক্ষক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
সবার অভিন্ন বক্তব্য—বাজিতপুরকে দ্রুত জেলা ঘোষণা করে এখানকার মানুষের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।